সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি আদায়ের গণ সমাবেশ

৮ দফা দাবি

আজকে আমরা সনাতন ধর্মালম্বীদের আট দফা দাবি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়াও তাদের এই আট দফায় কি কি দাবি রয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা করব তাই আজকে আমাদের এই আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে বিভিন্ন প্রান্তে অরাজকতার সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ছাড়াও হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয় টার্গেট করে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করে এরপর সরকার গঠনের পর তারা গত ১৬ বছরে তাদের উপর নানা নির্যাতনের বিচারের দাবিতে আট দফা দাবি পেশ করে। এই দাবিকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে সমাবেশ করে এবং তারা বিভাগ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বভাবের শেষে ঢাকা অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দেয়। এই সমাবেশের প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখ ও পাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। সাদিক কায়েম কে এবং তার পরিচয়

হিন্দুদের ৮ দফা দাবি কি কি

৮ দফা দাবি কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের লালদিঘির মাঠে গণসমাবেশ করেছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সংগঠন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। গত শুক্রবার বিকালে সমাবেশ থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমাবেশ শেষে ঢাকা অভিমান অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেয় দলটি। তাদের ৮ দফা দাবি নিচে দেওয়া হল।

প্রথম দফা

সংখ্যালঘু নির্যাতনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

দ্বিতীয় দফা

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদানে ”সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন” প্রণয়ন করতে হবে।

তৃতীয় দফা

সংখ্যালঘুদের জন্য ‘সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে।

চতুর্থ দফা

সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা আলাদা ”ফাউন্ডেশন” ফাউন্ডেশন।

পঞ্চম দফা

প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় দিতে হবে।

ষষ্ঠ দফা

‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ এবং ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সপ্তম দফা

আধুনিক ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ করতে হবে।

অষ্টম দফা

সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেল প্রার্থনাকক্ষ তৈরী করতে হবে।



About Md Mezanur Rahman

আমি, মোঃ মিজানুর রহমান খান, শব্দের ভেতর লুকিয়ে থাকা আলো ও অন্ধকারকে নিঃস্বার্থে খুঁজে ফিরি। একজন আধুনিক বাংলা কবি ও প্রবন্ধ লেখক হিসেবে মানবিক অনুভূতির নিঃশব্দ নড়াচড়া, ন্যায়–অন্যায়ের গভীর মনস্তত্ত্ব, আত্মশুদ্ধির নীরব পথচলা—এসবই আমার কবিতা ও সাহিত্য বিশ্লেষণের মূল সুর। বাস্তবতা ও কল্পনার মাঝখানে যে অদৃশ্য সেতু তৈরি হয়, আমি তারই পথিক। শব্দের প্রতিটি বাঁকে নতুন ভাবনার আলো জ্বালিয়ে পাঠকের মনে চিন্তার দরজা খুলে দেওয়াই আমার লেখার সাধনা। আমি নিয়মিত বাংলা কবিতা, প্রবন্ধ ও ব্যাখ্যামূলক সাহিত্য প্রকাশ করি, যার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধ ও উজ্জ্বল করার চেষ্টা করি।

View all posts by Md Mezanur Rahman →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *