অনলাইনে আয়

অনলাইন থেকে আয় করার সেরা ১০টি উপায়

উপায় গুলো নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব যাকে ফ্রীলান্সিং বলা হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মজীবী এবং ছাত্র ছাত্রীরা এই কাজে এখন অনেক বেশি আগ্রহী

এবং দিন দিন ফ্রীলান্সের দের সংখ্যা বেড়েই চলছে এটি একটি মুক্ত পেশা তাই এই ভাষাটি বাসায় বসেই কম্পিউটার মোবাইলের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে তাই সকলের জন্য সুবিধাজনক হয়ে থাকে

নিম্নে বিস্তারিত এ বিষয়ে আলোচনা করা হল আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ

অনলাইনে আয় / ফ্রিল্যান্সিং এখন  তরুণ সমাজের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজের পায়ে দারাতে শিখছে।

 যদিও আমাদের দেশে এখনও এ বিষয়টি নতুন, কিন্তু এরই মধ্যে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন।

পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে নিতে পারেন আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার।

উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান সেই সুযোগটিকে খুবই ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে।

আমরাও যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিশাল বাজারের সামান্য অংশ কাজে লাগাতে পারি তাহলে এটি হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার শক্ত হাতিয়ার।

আসুন, জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়ে বিস্তারিত।

ফ্রিল্যান্সিং কি ?

ফ্রিল্যান্সিংহল গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করার স্বাধীনতা । যেমনঃ কেউ ব্যবসা কে পেশা হিসেবে নেন তাঁরা হলেন ব্যবসায়ী,

যারা চাকুরী করেন তাঁরা হলেন চাকুরীজিবী, আবার যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা হলেন মৎস্যজীবি, ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং হল এক ধরনের পেশা।

আর যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। যাঁরা নিজের মেধা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে আয় করে থাকেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে কারও বস থাকে না নিজের ইচ্ছেমত কাজ করা যায় । freelancing work with freedom

কেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং-কে ক্য়ারিয়ার হিসেবে বেছে নেবেন ?

আগেই বলেছি যে ফ্রিল্যান্সিং হল একটি স্বাধীন পেশা, তাই এটি ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিলে আপনি নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী, যখন ইচ্ছে, যেখান থেকে ইচ্ছে কাজ করতে পারবেন।

বাড়িতে বসেই ছোট থেকে বড় কোম্পানির বা কোনও ব্যাক্তির কাজ করতে পারবেন।

আর এতে আপনার কোনও ডিগ্রি বা অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট এর ও প্রয়োজন নেই, তবে কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় এমন কোন কাজে যথাযথ জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে।

আর এই পেশার পারিশ্রমিক গতানুগতিক চাকুরির চেয়ে একটু বেশিই হয়ে থাকে। যদিও এটা আপনার কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর করে।

এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যাঁরা নিজের উচ্চ বেতনের চাকুরী ছেড়ে এখন ফ্রিল্যান্সিং করছেন এবং তাঁরা মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং এই তাঁরা অনেক বেশী আয় করেন

এবং সফল। তবে চাকুরী করার পাশাপাশিও ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।

কারা কারা এই পেশায় আসতে পারে ?

যেকোনো স্তরের মানুষই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে পারেন। এখানে নারী-পুরুষ, ধনী-গরিব, ছাত্র-চাকুরীজিবী যেকেও এই কাজ করতে পারেন।

বিষেস করে যারা চাকুরী করেন তারা অবসর সময়ে ফ্রিল্যানসিং করে আয় করতে পারেন।

ছ্ত্ররা ফ্রিল্যানসিং করে তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি পকেট খরচ ও চালাতে পারে। 

অনলাইন থেকে আয় করার সেরা ১০টি উপায়

এককথায় কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় এমন যেকোনো কাজই একজন ফ্রিল্যান্সার পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। এর মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা কয়েকটি কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

1.Search engine optimization (SEO)

আপনিকি SEO তে আপনার ক্যারিয়ার গরতে চান? তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য।

Search engine optimization (SEO)

এসইও (SEO): যার পূর্ন্য রুপ হলো Search Engine Optimization। আমরা অনেকেই হয়তো এসইও তে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাই কিন্তুু অধিকাংশ সময় সফল হতে পারি না। 

এর প্রধান কারন হচ্ছে আমরা আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে পারি না। আমরা নিজেরাই হয়তো জানি না আমরা কোন পথে হাটছি আর এর শেষ কোথায়।

 তাই আজ আমি এই বিষয় সম্পর্কে কিছু শেয়ার করতে চাই।

শিক্ষা (Learn): শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সেটা আমরা সবাই জানি। H

 আপনি যেই বিষয়েই সফল হতে চান আপনাকে প্রথমে সেই বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আপনি গুগল ও ইউটিউব থেকে শিখেতে পারেন। 

পোর্টফলিও (Portfolio) :Portfolio জিনিসটা কী অনেকে হয়তো জানেন ই না । Portfolio হচ্ছে আপনি যে কাজটি শিখেছেন সেটার নমুনা। 

এখন প্রশ্ন করতে পারেন, আমিতো নতুন এখন কোন কাজ করিনি তাহলে পোর্টফলিও কোথায় পাবো? 

আপনি কাজ শেখার পরে যদি Practice করে থাকেন সেটাকেই পোর্টফলিও হিসেবে কাজে লাগান। বায়ার আপনার বাসায় দেখতে আসবে না যে আপনি কিভাবে পোর্টফলিও তৈরি করলেন।

 অনুশীলন ( Practice): আপনি যদি শুধু কাজ শিখে ঘরে বসে বসে সফল হবার কথা চিন্তা করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনি এখনো……।

কোন বিষয়ে সফল হতে হলে সেই বিষয়ে আপনাকে এক্সপার্ট হতে হবে। সে জন্যই অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই।

Overview

: ওভারভিউ হচ্ছে আপনি কি কি কাজ জানেন, কত বছর ধরে কাজ করছেন, বা আপনার কাজ করার কৌশলের সংক্ষিপ্ত বর্ননা। 

একজন বায়ার প্রথমে এসেই আপনার প্রফাইলের ওভারভিউ চেক করবে। 

তাই আপনাদের কাজ পাবার ৬০% নির্ভর করে আপনাদের ওভারভিউ কতটা বায়রের মন কারতে পারে সিটার উপর।

 তাই অবশ্যই এটা খুব সহজ ও স্বাবলিল ভাষার হতে হবে। যাতে বায়ারের পড়তে ও বুঝতে সুবিধা হয়।

ফ্রিলেন্স মার্কেটপ্লেস ( Freelance Marketplace): ফ্রিলেন্স মার্কেটপ্লেস বলতে আমরা শুধু বুঝে থাকি Upwork, Freelancer। 

কিন্তুু এগুলো ছাড়াও অসংখ্য Marketplace রয়েছে। যেমন: Fiverr, Peoplesperhour, Contentmark, Microworker ইত্যাদি। আমি নিচে প্রধান দুটি মার্কেটপ্লেস এর সম্পর্কে ধারনা দিব।

আপওয়ার্ক (Upwork): বর্তমানে সবচেয়ে উত্তম ফ্রিলেন্স মার্কেটপ্লেস হলো Upwork। এখানে আপনি ভাল মানের বিড করে খুব সহজেই কাজ নিতে পারবেন।

 কিন্তুু অবশ্যই আপনাকে খুব ভালো মানের কাজ জানতে হবে।

ফ্রিলেন্সার (Freelancer.com): আপওয়ার্ক ও ফ্রিলেন্সার ডট কম দুটোই একই ধরনের Marketplace। যেখানে আপনাকে বিড করে নিজের যোগ্যতার প্রমান দিয়েই কাজ নিতে হবে।

ফাইভার (Fiverr.com): ফাইভার এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি ফাইভরেও অনেক ভাল মানের আর্ন করতে পারবেন।

ভাগ্য (Luck) : পৃথিবীতে আপনি যাই করেন না কেন আপনাকে নিজের ভাগ্যের সাথে হার মানতেই হবে। 

তাই বলে কি ভাগ্যের দোষ দিয়ে বসে থাকবো? না। গুনিজনরা বলে গেছেন তুমি হয়তো তোমার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে না কিন্তুু নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবে। 

আর তোমার অভ্যাসই তোমার ভাগ্য পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। 

তাই কোন কিছুতে হাল না ছেড়ে দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ সফলতা একদিন আপনার কাছে ধরা দিবেই।

ব্লগিং

বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখালেখি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়

আপনি যে বিষয়ে ভালো পারেন সেই বিষয়ে Google একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে ব্লগ লিখতে হবে

এবং যখন ভিজিটর আসবে আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগ পড়তে তখন গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করে সে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে পারেন

ওয়েব ডেভলপমেন্ট:

 ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজটি বর্তমানে অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং ভালো একটা এ্যার্নিং সোর্স এই প্লাটফর্মে দিন দিন চাহিদা বেড়েই চলছে

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে অথবা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠান বা কাউকে সাহায্য করার মাধ্যমে ভালো আর্নিং করা সম্ভব

ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবভিত্তিক সফ্‌টওয়্যার তৈরি, ওয়েবসাইট ম্যান্টেনেন্স ইত্যাদি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

: সারা বিব্শে ১৫,০০,০০০ পনের লক্ষের চেয়েও বেশি মানুষ গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজটি করে থাকে।

এই কাজের প্রতিজোগিতা অনেক বেশি।

গ্রাফিকস ডিজাইন বলতে আমরা বুঝি লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, পোষ্টার ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন আরও অনেক কিছু।

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং: 

একটি ওয়েবসাইট  তৈরি করতে অনেক প্রকার প্রগ্রামিং এর দরকার হয়। এই কাজগুলোকে প্রগ্রামিং বলে।

ইন্টারনেট মার্কেটিং

: মার্কেটিং বলতে কোন প্রডাক্টকে প্রমোট করা। উন্নত দেশের অনেক ব্যবসায়ী তাদের প্রডাক্টকে প্রমট করতে চায়

তাই তারা বিভিন্য ওয়েবসাইটে তাদের প্রডাক্টকে প্রমট করার জন্য অফার করে থাকেন। এই প্রকার মার্কেটিংকে সিপিএ মার্কেটিং বলে।   

লেখালেখি ও অনুবাদ:

আপনি যদি লেখালেখিতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন ফ্রিলেন্সার।

ইন্টারনেটে বিভিন্য ধরনের ওয়েবসাইট আছে যাতে আপনি আপনার লেখা সাবমিট করে আয় করতে পারবেন।

এমনকি আপনি ব্লগার কিংকা ওয়ারডপ্রেস দিয়ে ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে আপনার লেখা সাবসিট করে আয় করতে পারবেন।

( কিভাবে ব্লগার থেকে আয় করবেন তা আমার অন্য পোষ্টে পাবেন)

মাইক্রো জবসঃ

 ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেও আপনি আয় করতে পারবেন। যেমন ফেসবুকে লাইক দেওয়া, ১০ টি জিমেইল

/ ইয়াহু একাউন্ট খুলে দেওয়া। এ সংক্রান্ত ছোট কাজ গুলোর মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব।

গ্রাহক সেবা:

 দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির গ্রাহককে টেলিফোন, ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহাজ্যে

তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা করে আপনি আয় করতে পারবেন।

ভার্টুয়াল অ্যাশিস্ট্যান্ট/প্রশাসনিক সহায়ক

: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন কাজের ডাটা এন্ট্রি করণ, ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি।
কোথায় কাজ পাবো ?

অনলাইনে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে এই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এই বিষয় নিয়ে আপনাদের পরে বিস্তারিত আলচনা করব। 

অনলাইন থেকে আয় করার সেরা ১০টি উপায় নিয়ে শেষ কথা

অনলাইন থেকে আয় করার সেরা ১০টি উপায় উপরোক্ত কাজগুলো মধ্যে যেকোনো একটি কাজ ভালোভাবে শিখে কাজ করতে পারলে অবশ্যই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ

কিন্তু ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়গুলো মধ্যে যে কোন একটি বিষয় খুব ভাল ভাবে সেই বিষয়ের উপরে জ্ঞান লাভ করতে হবে

অর্থাৎ এক্সপার্ট হতে হবে তাহলে অনলাইন থেকে ইনকাম করা আপনার জন্য সম্ভব হবে

অনলাইনে 100 মানুষ কাজ করতে এসে 98 জন মানুষ ইনকাম করতে পারে না শতকরা মাত্র দু’জন মানুষ সাকসেসফুল ইনকাম করতে পারে

তাই যে কাজ শিখেন না কেন সেটা ভালো মানের শিক্ষা হওয়া চাই তাহলে ইনকাম করা সম্ভব

ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন আসসালামু আলাইকুম

Tanvir Mahtab

আমি তানভীর মাহতাব, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার উপর অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেছি। আমি এখন Bangla Newspaper সহ এখন টিভি ও নাগরিক টিভি পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *