টেকনোলজি

জামিনে মুক্তি পেলেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা রাসেল

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অনলাইন প্লাটফর্ম ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে তাকে কাশিপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

ইভ্যালির রাসেলের জামিন

মঙ্গলবার কারাগর কাশিমপুর কারাগরের ১ এর জেলার মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম এ কথা নিশ্চিত করে বলেন, যে সোমবার বিকেলে আমরা তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে।

তার জামিনের কাগজপত্র আশায় যাচাই-বাছাই করার পর সোমবার বিকেলে তিনি জামিনে মুক্তি পান।জেলার মোঃ তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল এতদিন বিভিন্ন মামলায় জেলে বন্দি ছিলেন।

গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে তার কোম্পানি ইভ্যালির এক গ্রাহক ফরহাদ হোসেন নামে গুলশান থানায় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমার নামে প্রতারণা ও আত্মসাৎ মামলা করেন।

ফলশ্রুতিতে পুলিশ পরের দিন তাদের বাসা থেকে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমাকে গ্রেফতার করে। ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা এতদিন জামিনে বাহিরে থাকলেও ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল কারাগারে বন্দি ছিলেন।

ইভ্যালির সর্বশেষ খবর

ইভ্যালির বর্তমান সিইও এখন রাসেলের স্ত্রী শামীমা। হাইকোর্টের নির্দেশে তাকে ইভ্যালির সিইও ঘোষণা করা হয়। এর আগে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কোম্পানির পর্ষদ থেকে জানা যায় রাসেল ও শামিমার ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না তারা গ্রাহকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করে তারা কম সংখ্যক গ্রাহকদের পণ্য দিতে পারলেও বেশিরভাগ গ্রাহকদের পণ্য দিতে পারত না।

তারা বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফারের মাধ্যমে সহজ-সরল মানুষদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলত। সাধারণ মানুষ এই লোভের তাড়নায় প্রতারণায় পা দিত।

ইভ্যালি কোম্পানি

ইভ্যালি মূলত অনলাইন বেসড ই কমার্স মার্কেটপ্লেস। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাসেল। ২০১৮ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রথম বাংলাদেশে পরিচালনা করা হয়।

এটি বিভিন্ন লোভনীয় অফার এর মাধ্যমে গ্রাহক টেনে আনার পদ্ধতি মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। এতে খুব কম টাকায় যেকোনো পণ্য গ্রাহকদের কাছে হস্তান্তর করা হতো।

কিন্তু বেশিরভাগ গ্রাহকদের পণ্য হস্তান্তর করা হতো না। ২০২১ সালে এই কোম্পানির নামে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলা করা হলে কোম্পানির বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়

Tanvir Mahtab

আমি তানভীর মাহতাব, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার উপর অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেছি। আমি এখন Bangla Newspaper সহ এখন টিভি ও নাগরিক টিভি পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *