Uncategorized

বাংলাদেশের নতুন কোটা পদ্ধতি ২০২৪

বাংলাদেশের নতুন কোটা পদ্ধতি জারি হয় ২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখ। আজকের এই আলোচনায় নতুন ঘোষিত কোটা পদ্দতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এছাড়াও বাংলাদেশে কোটা কত প্রকার ?,কোটা কত পার্সেন্ট?, মুক্তিযোদ্ধা কোটা কত পার্সেন্ট?, প্রতিবন্ধী কোটা কত পারসেন্ট? এইগুলা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। Cervical Cancer বা সার্ভিকাল ক্যান্সার বা জরায়ু ক্যান্সার কী ?

কোটা কি?

কোটা হলো কোনো অনগ্রসর জাতিকে এগিয়ে আনার একটি মাধ্যম। কোটার মাধ্যমে কোনো অনগ্রসর জাতি রাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। যেমন-শিক্ষার ক্ষেত্রে, সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে, চাকুরীতে প্রোমোশনের ক্ষেত্রে এছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্রে।

কোটা পদ্ধতি কি ?

বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকে প্রথম কোটা ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৭১ সালের মহান যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রথম কোটা পদ্ধতি চালু করা হয়। ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই কোটা নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করার পূর্বে ৬৪ জেলার জন্য কোটা চালু করা হয়েছিল এবং বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে ২৫৮ ধরনের ছিল। তাছাড়াও প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে মোট পাঁচটা ক্যাটাগরিতে কোটার ব্যবস্থা ছিল।

মুক্তিযোদ্ধা কোটা: ৩০ শতাংশ, জেলা কোটা: ১০ শতাংশ, নারী কোটা: ১০ শতাংশ, উপজাতি কোটা: ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী কোটা: ১ শতাংশ।

বাংলাদেশে কোটা কত প্রকার ?

বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে ২৫৮ ধরনের কোটা চালু আছে। প্রথম শ্ৰেণীৰ চাকুরীর ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশ কোটা মোট ৫টি ভাগে বিভক্ত ছিল। যার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ , জেলা কোটা ১০ শতাংশ, নারী কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি কোটা ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ।

২০২৪ সালের ২৩ জুলাই কোটা নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করার পর কোটা পদ্ধতি ৫৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ এ নিয়ে আসা হয়। ফলে বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর চাকুরীর ক্ষেত্রে কোটা পদ্দতি ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

  • মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; ৫%
  • প্রতিবন্ধী ও ৩য় লিঙ্গের মানুষদের; ১%
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী: ১%

বাকী ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি

সরকারি প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর বিভিন্ন নিয়োগের জন্য বর্তমানে ৭ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এবং ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য রাখা হয়েছে। তবে নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা বাতিল করা হয়েছে।

কোটা কত পার্সেন্ট?

২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখে জারি করা নতুন কোটা পদ্ধতির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত/ আধা স্বায়ত্তশায়িত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকুরীতে নিয়োগের জন্য সকল গ্রেডে মোট ৭ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তি যোদ্ধার সন্তানদের জন্য ১শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং ১শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও ৩য় লিঙ্গের মানুষদের জন্য রাখা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা কোটা কত পার্সেন্ট?

পূর্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য চাকরির ক্ষেত্রে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত/ আধা স্বায়ত্তশায়িত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকুরীতে ৩০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ ছিল কিন্তু ২৩ জুলাই ২০২৪ এর নতুন কোটা পদ্ধতি প্রজ্ঞাপন করারজারি করার মাধ্যমে ৩০ শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রতিবন্ধী কোটা কত পারসেন্ট?

২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখে জারি করা নতুন কোটা পদ্ধতির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত/ আধা স্বায়ত্তশায়িত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকুরীতে নিয়োগের জন্য সকল গ্রেডে মোট ৭ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে ।

Tanvir Mahtab

আমি তানভীর মাহতাব, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার উপর অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেছি। আমি এখন Bangla Newspaper সহ এখন টিভি ও নাগরিক টিভি পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *