কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি 2024
সরকারের কাছে ৯ দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।এর সাথে তারা এ আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের গতকাল শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বাংলাদেশের নতুন কোটা পদ্ধতি ২০২৪
কোটা আন্দোলনে ছাত্রদের ৮ দফা দাবি কি কি?
নয় দফা দাবির পূর্বে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি জানায়। এর পর আট দফা দাবি সংস্কার করে নয় দফা দাবি তুলা হয়। ছাত্রদের ৮ দফা দাবি কি কি? তা নিচে দেওয়া হলো
তাহলে চলুন জেনে নেই ছাত্রদের ৮ দফা দাবি কি কি –
১. নিহতদের ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে গ্রেফতার ও বিচার।
২. শহীদদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা, মাসিক ভাতা।
৩.তাদের পিতা–মাতার মতামতের ভিত্তিতে একজন সদস্যকে চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া।
৪. সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে প্রশাসনিকভাবে সিট বরাদ্দ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করা।
৫. ছাত্র সংসদ চালু করা।
৬. কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার।
৭. কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সব শিক্ষার্থীকে সব ধরনের রাজনৈতিক, আইনি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মাধ্যমে একাডেমিক হয়রানি না করার নিশ্চয়তা দেওয়া।
৮. ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
৩১ জুলাই পর্যন্ত এই সহিংসতায় অন্তত ২১২ জন নিহত হয়েছেন। পুরো ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে দেশের বাইরেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সরকারের ভাবমূর্তি তলানিতে এসে ঠেকে। বন্ধু রাষ্ট্র ভারত এখনো চুপ থাকলেও বাকি দেশ গুলো হাসিনার সরকারকে কঠোর সমালোচনা করেছে।
কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি কি কি ?
কোটা আন্দোলনের দাবি সরকার ইতিমধ্যে মেনে নিলেও প্রায় দুই শতাদিক শিক্ষার্থী ও হাজার হাজার শিক্ষার্থী আহত হওয়ার কারণে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষাথীরা এখনো আন্দোলন বন্ধ করে নি। তাদের দাবি ন্যায্য অধিকার চাওয়ার কারণে তাদের এত রক্ত দিতে হয়েছে। এগুলোর বিচার না করলে তারা রাজপথ ছাড়বে না।ফলে ইতিমধ্যে ছাত্র আন্দোলনের সমন্নয়নকরা সরকারের কাছে নয় দফা দাবি জানিয়েছে। তারা আরো বলছে এই নয় দফা মেনে না নিলে আন্দোলন চলমান থাকবে।
তাহলে চলুন জেনে নেই ছাত্রদের ৯ দফা দাবি কি কি –
১. কোটা আন্দোলনে ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
২. কোটা আন্দোলনে ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
৩. যেসব এলাকায় ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটেছে, সেসব এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারকে বরখাস্ত করতে হবে।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।
৫. আন্দোলনে নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৬. ছাত্র হত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের আটক ও হত্যা মামলা দায়ের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ও ছাত্রসংসদ চালু করতে হবে।
৮. অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দিতে হবে।
৯. কোটা আন্দোলনে অংশ নেওয়া সকল শিক্ষার্থী যেন একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোনো হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষর্থীদের শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।’
![tanvir mahtab](http://bangla-newspaper.net/wp-content/uploads/2024/10/tanvir-mahtab.jpg)
আমি তানভীর মাহতাব, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার উপর অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেছি। আমি এখন Bangla Newspaper সহ এখন টিভি ও নাগরিক টিভি পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।
Pingback: রাষ্ট্রপতি পদত্যাগের বর্তমান অবস্থা ও কার্যাবলী - Bangla Newspaper