আন্তর্জাতিক

হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করল ইসরাইল

আজকে আমরা আলোচনা করব হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে নিয়ে। আপনারা অনেকেই জানেন না এই হাসান নাসরুল্লাহ কে এবং তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। প্রিলিমিনারি মাস্টার্স পরীক্ষার রুটিন ২০২৪ 

হাসান নাসরুল্লাহ কে ?

লেবাননের শিয়া মুসলিম সংগঠন হিজবুল্লার প্রধান শেখ হাসান নাসরুল্লাহ। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরিচিত মুখ এবং সবচেয়ে মধ্য প্রাচ্চের প্রভাবশালী নেতাদের একজন। বছরের বছর ইসরাইলের হামলার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় জনসম্মুখে আসছিলেন না তিনি। তবে লোক চক্ষুর অন্তরালে থাকলেও নাসরুল্লাহর প্রতি তার সমর্থকদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এতটুকু কমেনি।

ইসরাইলের কাছে ছায়া মূর্তি এই নেতা হাসান নাসরুল্লাহর ছিল দেশটির প্রধান শত্রু ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক। হিজবুল্লাকে একটি রাজনৈতিক শক্তি ও বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠার পিছনে তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

৬৪ বছর বয়সি হাসান নাসরুল্লাহর জন্ম ১৯৬০ সালে। তার বাবা আব্দুল করিম নাসরুল্লাহ ছিলেন একজন সাধারন সবজি বিক্রেতা। তার নয় সন্তানের মধ্যে নাসিরুল্লাহ ছিলেন সবার বড়।ছিলেন একজন সাধারন সবজি বিক্রেতা। তার নয় সন্তানের মধ্যে নাসিরুল্লাহ ছিলেন সবার বড়।

১৯৭৫ সালে লেবানন গৃহযুদ্ধের মুখে পড়লে হাসান নাসরুল্লাহ শিয়া মুভমেন্ট আমলে যোগদান করেন। পরে কিছুদিন ইরাকের শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাটান। এরপর আবার লেবাননে ফিরে আমালে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে এই দলটি থেকে বেরিয়ে যান। এই ঘটনার কিছুদিন আগে লেবাননে আগ্রাসন চালায় ইসরাইল। আমাল থেকে বের হয়ে নতুন দল তৈরি হয় ইসলামিক আমাল যা ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী থেকে সামরিক ও সাংগঠনিক সহায়তা পেয়েছে।

আস্তে আস্তে এটি সশস্ত্র হিজবুল্লাহ সংগঠনের রূপ নেয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম নিজেদের আত্মপ্রকাশের কথা জানায় হিজবুল্লাহ। যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে তারা চিহ্নিত করে ইসলামের প্রধান শত্রু হিসাবে এবং সেই সাথে মুসলিমদের ভূমিদখলকারী ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলকে ধ্বংস করার ডাক দেয় তারা।

১৯৯২ সালের মাত্র ৩২ বছর বয়সে হিজবুল্লার প্রধান হন নাসরুল্লাহ। এর আগে ইসরাইলের এক হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হন পূর্বসূরী হিজবুল্লাহ প্রধান আব্বাস আল-মুসাওয়ী। হিজবুল্লা প্রধান হওয়ার পর তার প্রথম লক্ষ্য ছিল তার পূর্বসূরীর হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া। এজন্য তিনি ইসরাইলের বিভিন্ন জায়গায় রকেট হামলা করেন।

হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু

গত শুক্রবার হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার লক্ষ্যে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইল সামরিক বাহিনী। তারা শুক্রবার রাতে কয়েক মিনিটের মধ্যে আশিটিরও বেশি বোমা হামলা চালায়। এই বোমা হামলায় হাসান নাসিরুল্লাহ নিহত হন বলে দাবি করে ইজরাইল। এরপর হিজবুল্লার পক্ষ থেকেও তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। হত্যা করার জন্য গত কয়েক মাস থেকেই তার গতিবিধি অনুসরণ করছিল। এমনকি নাসরুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে আগে থেকে জানতেন ইজরাইলের শীষস্থানীয় নেতারা।

Tanvir Mahtab

আমি তানভীর মাহতাব, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার উপর অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেছি। আমি এখন Bangla Newspaper সহ এখন টিভি ও নাগরিক টিভি পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *