বাংলাদেশের ডেঙ্গু ২০২৪ কতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এবং কেন ? ডেঙ্গুর ৭টি সতর্কীকরণ লক্ষণ কি ? ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় ?
Cervical Cancer বা সার্ভিকাল ক্যান্সার বা জরায়ু ক্যান্সার কী ?
বাংলাদেশে 2024 সালে ডেঙ্গু – 2024 সালে কতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ? ডেঙ্গু জ্বরের কারণ ? বাংলাদেশে কিভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যায়, ডেঙ্গুর ৭টি সতর্কীকরণ লক্ষণ কি ? ডেঙ্গু ভাইরাস কি মেরে ফেলা যায় ? ডেঙ্গু থেকে বাঁচা কি সম্ভব? ডেঙ্গুতে কত শিশুর মৃত্যু হয়েছে ?
ডেঙ্গু কি জীবনে একবার হয় ? ডেঙ্গু ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা কত? ডেঙ্গু মশা কি রাতে কামড়ায় ? ডেঙ্গুতে কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয় ?ডেঙ্গু মশার কামড়ের চিহ্ন কী ? আমরা কি ডেঙ্গুকে পরাজিত করতে পারি ? আমি কি ডেঙ্গুতে দুধ পান করতে পারি ? চলুন আর দেরি না করে আমরা আমাদের আলোচনা শুরু করি।
বাংলাদেশে 2024 সালে ডেঙ্গু
২০২৪ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে, যা আস্তে আস্তে মহামারী রূপ ধারণ করছে শুধু বাংলাদেশে নয় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়ার কিছু অংশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
এটি পুয়ের্তো রিকো, ইউএস ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং পালাউ সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে পাওয়া যায়।সংক্রমিত ব্যক্তির আশেপাশে থাকলে আপনার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই ।
যাইহোক, আপনি আপনার জীবনে একাধিকবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন কারণ চারটি ভিন্ন ডেঙ্গু ভাইরাস রয়েছে।
2024 সালে কতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এবং কেন ?
বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শুধুমাত্র এ বছরেই মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯৯ জনে।বাংলাদেশে মৃত্যুর এ সংখ্যা দেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের ২৪ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু গত বছর ১ হাজার ৭০৫ জনের।
ঢাকা ছাড়াও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে অন্যান্য জেলায়ও। রাজধানী হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েই চলেছে।হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ার কারণে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিদিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে । স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিবেদনে দেখা যায় গত কয়েক মাসের তুলনায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।
সাধারণত দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে ভয়াবহ দিকে যাচ্ছে তার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলেন যে ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে অসচেতনতার থাকার কারণে ও দেরিতে রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার কারণে ডেঙ্গু রোগের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত নারী পুরুষের উভয় হয়ে থাকে তাই বিশেষ করে নারীদের প্রতি স্বাস্থ্য সচেতনতা কম কেননা জ্বর নিয়ে অবহেলা কারণে নারীরা বেশি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশি হয়ে থাকে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে অসচেতনতা থাকার কারণে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে দিন দিন রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে।
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মুশতাক আহমেদ বলেন, প্রথমত রোগীর সংখ্যা বাড়লে আনুপাতিক হারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। দ্বিতীয়ত গত বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে যেসব কারণ সেগুলি বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
‘সর্বপ্রথম আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীয়করণ করতে হবে। এছাড়াও যারা সনাক্ত হচ্ছে কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ রোগী নয় , তাদেরকে মাঠপর্যায়ে হাসপাতালে রাখার কারণে , আবার যারা জটিল রোগী তাদেরও একসাথে রাখা হচ্ছে, ফলে তারা যথার্থ চিকিৎসা পাচ্ছে না।
সবাইকে একত্রে হাসপাতালে নেওয়ার কারণে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি নষ্ট হয়ে যায় এবং তারা সঠিকভাবে রোগীদেরকে চিকিৎসা দিতে পারে না। এমন সময়ে যতই ডাক্তার থাকুক না কেন যতই ওষুধপত্র বা স্যালাইন ইত্যাদি থাকুক না কেন হাসপাতালে রোগী রাখার জায়গায় না থাকলে কিভাবে তারা রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দিবেন। তাই আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীয়করণ করতে হবে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীকে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে তাকে জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এতে রোগীকে নিয়ে যেতে যেতে রোগীর প্ল্যাটিনেট কমে গিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় হয়ে যায় । এমন অবস্থায় রোগীকে সুস্থ করা কঠিন হয়ে পড়ে জানান চিকিৎসকেরা।
ছাত্র আন্দোলনের কারণে সিটি কর্পোরেশন অকার্যকর হয়ে পড়েছে ও কাউন্সিলররা কাজ করছেন না, যার ফলে কোন প্রকার কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়ার মতো কেউ নেই এই কারণে এলাকায় ডেঙ্গু মশা কোথায় আছে কোথায় দিন পেড়েছে কিছু শনাক্ত করা যাচ্ছে না এবং ডেঙ্গু সম্পর্কিত কর্মসূচি না নেওয়ার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
ডেঙ্গু মশাকে যত দ্রুত সম্ভব শনাক্ত করা না গেলে এটি মহামারী আকার ধারণ করতে পারে এবং অতি দ্রুত ডেঙ্গু মশা লার্ভা কোথায় আছে ইত্যাদি যত দ্রুত সম্ভব বের করা।
“সিটি করপোরেশনের এ প্রোগ্রাম সমন্বিতভাবে সারা দেশে করা দরকার। কারণ বর্ষায় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে রোগী ” এই উদ্যোগ নেওয়ার কারণে ডেঙ্গু কিছু হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
ছাত্রদেরকেও এ কাজে সহযোগী হিসেবে নেওয়া যেতে পারে ।
বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে রোগী সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে এই সময় যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে সে রোগীগুলোকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দিতে পারে কিন্তু তারা এটা না করে জেলা হাসপাতালে ট্রান্সফার করে দেয়।
এমন সময় রোগীর ক্ষেত্রে রোগীর প্রাণের ঝুঁকি বেশি বেড়ে যায় এতে রোগীর প্লাটিনেট কমে যায় এবং কমে গিয়ে রোগীর মুমূর্ষ অবস্থায় হয়ে যায়।
ডেঙ্গুর ৭টি সতর্কীকরণ লক্ষণ কি ?
এখানে সাতটি সতর্কীকরণ চিহ্ন রয়েছে যা দেখার জন্য:
- হঠাৎ করে প্রচন্ড জ্বর শুরু হবে।
- মাথাব্যথা ও প্রচন্ড চোখের পেছনে ব্যথা করবে।
- শরীরে ক্লান্তি বা বিরক্তির ভাব প্রকাশ পাবে।
- চামড়াতে ফুসকুড়ি পড়বে।
- হঠাৎ করে বমি বমি ভাব লাগবে।
- হঠাৎ করে পেটের ব্যথা ও কোমলতা শুরু হবে।
- বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তপাত হবে যেমন: নাক ও মাড়ি থেকে।
ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় ?
- এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায় –বাড়ির ভেতরে ও ছাদে পড়ে থাকা অপ্রয়োজনীয় পাত্রসমূহে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া ও বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
2.ব্যবহারযোগ্য পাত্র সমূহ যেমন বালতি মগ ফুলের টপ ইত্যাদি ভিতরে যেন পাঁচ দিনের বেশি পানি জমা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা।
3.অব্যবহৃত গাড়ির টায়ার, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা, পরিত্যক্ত টিনের কৌটা, প্লাষ্টিকের বোতল/ক্যান, গাছের কোটর, পরিত্যক্ত হাড়ি, ডাবের খোসা ইত্যাদিতে ০৫ (পাঁচ) দিনের বেশি যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্যে রাখুন এবং প্রয়োজনে অপসারণ করুন।
ডেঙ্গু মশা কি রাতে কামড়ায় ? না কি দিনেই শুধু সতর্ক থাকবেন ?
![](https://bangla-newspaper.net/wp-content/uploads/2024/11/image.png)
ডেঙ্গুর আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে । তার সাথে বাড়ছে মৃত্যু হারও। এই পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত চিকিৎসকেরা অতি সতর্ক থাকার কথা বলছেন।
ডেঙ্গু মূলত হচ্ছে ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগের জন্য দায়ী এডিস ইজিপ্টাই মশা। এই মশার কামড়েই প্রাণ হারাচ্ছেন হাজারো মানুষ। সাধারণত বর্ষার মৌসুমে এই মশা দাপট বেড়ে থাকে এবং এমন পরিস্থিতিতে প্রবল জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, বমি, ডায়েরিয়া— ডেঙ্গুর এর লক্ষণ গুলো দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে ।
ডেঙ্গু সাধারণত মশার কামড়ের ধারা ছড়িয়ে থাকে ডেঙ্গু মশা শুধু দিনের বেলাতেই কামড়ায় একথা অনেকে বলে থাকেন কিন্তু এ মশা রাতেও কামড়াতে পারে।। যে মশারা ডেঙ্গু , ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ ছড়ায়,তবে সর্বদা আমাদেরকে সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে না হলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
কোনও এডিস মশা যদি কোন ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ায় তৎক্ষণাৎ সেই মশার ভেতরে ভাইরাস প্রবেশ করে এবং এই মশা যাকেই কামড়াবে সেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পড়বে, এভাবে সাধারণত ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে থাকে। আর এ ভাবে এক জন থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে যেতে থাকে রোগ।
তাই আপনাদেরকে অবশ্যই সতর্কমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে । তাই রাত-দিনের বিচার না করে সব সময়েই মশা থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। অভ্যাস না থাকলেও মশারির ব্যবহার, মশা তাড়ানোর ক্রিম গায়ে মাখা, ফুলহাতা জামা আর ফুল ট্রাউজ়ার্ পরা, বাড়িতে মশার ধূপ ব্যবহার, জানলায় নেটের ব্যবহার— এই সব বাড়তি সতর্কতা নিয়ে চলতে হবে।
ডেঙ্গুর কি ভ্যাকসিন আছে ?
ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন হলো এমন একটি ভ্যাকসিন যা সাধারণত মানুষের ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে ব্যবহৃত করা হয়। ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের বিকাশ 1920-এর দশকে শুরু হয়েছিল, কিন্তু চারটি ডেঙ্গুর সেরোটাইপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার কারণে এটি বাধাগ্রস্ত হয়েছিল । 2023 সাল পর্যন্ত, দুটি বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ ভ্যাকসিন রয়েছে, যা ডেংভাক্সিয়া এবং কিউডেঙ্গা ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হয় ।
ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া শুধুমাত্র তাদের জন্য সুপারিশ করা হয় যাদের পূর্বে ডেঙ্গু জ্বর বা জনসংখ্যা ছিল যেখানে বেশিরভাগ লোক পূর্বে অ্যান্টিবডি-নির্ভর বর্ধিতকরণ হিসাবে পরিচিত ঘটনার কারণে সংক্রমিত হয়েছিল । ডেংভ্যাক্সিয়ার মান এই কারণে সীমিত যে এটি তাদের মধ্যে গুরুতর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে যারা আগে সংক্রমিত হয়নি। 2017 সালে, 733,000-এরও বেশি শিশু এবং 50,000-এরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবককে সেরোস্ট্যাটাস নির্বিশেষে ডেংভ্যাক্সিয়ার টিকা দেওয়া হয়েছিল , যা একটি বিতর্কের কারণ হয়েছিল ৷ QDENGA পূর্বে সংক্রমিত নয় এমন ব্যক্তিদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।।
ডেঙ্গুতে কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয় ?
প্রচন্ড জ্বর, সর্বাঙ্গে বিশেষত হাড়ে জয়েন্টে জয়েন্টে ও ব্যথা, রক্তের অনুচক্রিকা দ্রুত কমে যাওয়া, কালসিটেপড়া, শরীরের বিভিন্ন স্থান দিয়ে রক্ত পড়া এর উপসর্গ ।
ডেঙ্গু জ্বর এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস জনিত জ্বর যা সাধারণত মানুষের লিভারে আক্রান্ত করে এবং এতে রোগী দুর্বল বোধ করে ও ভালোমতো খেতে পারেনা । এটি সাধারণত জ্বর কমে যাওয়ার পর এটি সাধারণত এক সপ্তার মত থাকতে পারে এই রোগে গত কয়েক বছর বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গিয়েছে।
ডেঙ্গু মশার কামড়ের চিহ্ন কী ? ও কি কি ?
- ডেঙ্গু মশা’ কামড়ালে কি ফুলে যায় ?
সাধারণত ডেঙ্গু মশা কামড়ের ফলে সেখানে ফুলে যায় এবং অনেকটা চুলকানিও হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকের ফুলে যায় আবার চুলকায় আবার এমনও আছে অনেকের ক্ষেত্রে এই দুটোর মধ্যে কিছুই হয় না ।
- ডেঙ্গু মশা’ দেখতে কেমন ?
ডেঙ্গু মশা জীবাণু বহনকারী এমন একটি মশা, যা সাধারণত খালি চোখেই সনাক্ত করা যায়।
সাধারণত ডেঙ্গু মশা দেখতে ,এটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে, এবং এর গায়ে ও পায়ে কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে এভাবে ডেঙ্গু মশা সনাক্ত করা যায়।
- মশা কামড়ালেই কি ডেঙ্গু হবে ?
সাধারণত আমরা জেনে থাকি যে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে কোন মশা কামড়ালে সে মশার ভিতরে সে ডেঙ্গু ভাইরাস বাহি হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে সে যাকে যাকে কামড়াবে সেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়বে। তবে যে কোন মশা কামড়ালেই ডেঙ্গু হবে না।
- মশা কামড়ানোর পর কী করলে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে ?
সাধারণত ডেঙ্গু মশার কামড়ানো ফলে ডেঙ্গু বহনকারী ভাইরাসটি সরাসরি গিয়ে রক্ততে মিশে যায় এভাবে সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পরে। যদি ডেঙ্গু মশা কামড়ের ফলে ভাইরাসটি শুধু চামড়ার উপরে লেগে থাকে তাহলে সেখানে 20 সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে ঘষলে ভাইরাসটি মরার সম্ভাবনা থাকে।
- ডেঙ্গু মশা কোথায় থাকে, কোথায় ডিম পাড়ে ?
ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশাটি সাধারণত শুকনো ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম নেয় এবং এটি অনেকদিন ধরে জমে থাকা পানি বা কোন পাত্রের কিনারায় ডিম পেড়ে থাকে।
“সাধারণত দেখা যায় এই মশার ডিম থেকে প্রথমত লার্ভার মত হয় এরপর পিউপা হয় এবং তারপরে পিউপা থেকেই পরিপূর্ণ মশার রূপ ধারণ করে” থাকে।
- ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে ?
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকে- ক্লাসিকাল এবং হেমোরেজিক। ক্লাসিকাল ডেঙ্গু সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
- ডেঙ্গু টেস্ট কী কী ?
NS1 IgM IgG
- ডেঙ্গু হলে কী খাবার খেতে হয় ?
সাধারণত যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় তাদের শরীরের অবস্থা অনেকটাই দুর্বল হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি কে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে বেশিরভাগই ডাক্তারেরা নরম যুক্ত খাদ্য ও তরল খাদ্য গ্রহণ করতে বলে।
এবং তার সাথে বাড়িতে বানানো ফলের জুস, চুপ, ডাবের পানি, ওরস্যালাইন,এবং অন্যান্য নরম যুক্ত খাবার খাওয়ানো যেতে পারে।
তবে অনেকেরই ডায়াবেটিস থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তবে হ্যাঁ খাবারের ভারসাম্যতা রক্ষা করতে হবে, তা না হলে আক্রান্ত ব্যক্তি অবস্থা খারাপ হতে পারে।
যদি কোন আক্রান্তের ব্যক্তির দিনে তিন চার ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হয়, প্রস্রাবের রং হলুদ না হয়, তারমানে তার আর্দ্রতা স্বাভাবিক আছে।”
- ডেঙ্গু জ্বর কী ছোঁয়াচে রোগ ?
ডেঙ্গু হলো এমন একটি রোগ যা সাধারনতা মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে স্পর্শ করলে, একই বিছানায় ঘুমালে অথবা তার ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করলে অন্য কারো এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনায় নেই ।
ফলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে কোন সমস্যা নেই অথবা তাকে আলাদা করে রাখার কোন প্রয়োজন নেই।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণসমূহ
- জ্বর।
- ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের প্রত্যেকটি গাটে গাটে ব্যথা করবে মাথা ব্যথা করবে পেশীতে ব্যথা করবে চোখের পেছনে ব্যথা করবে।
- শরীরে লালচে র্যাশ।
- পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়াশরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতেই পারে
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
- কাশি।
- ক্ষুধামন্দা।
- অস্বাভাবিক দুর্বলতা, ক্লান্তি।
- শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
- রক্তচাপ কমে যাওয়া, পালস রেট বেড়ে যাওয়া।
এখন যেহেতু ডেঙ্গুর অবস্থা অনেক বেশি, ডেঙ্গুর ধরনও বারবার পরিবর্তন হচ্ছে।
যদি কারো এই ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে জ্বর হয় দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে ।
শেষ কথা
আপনারা উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন যে ২০২৪ সালে কতজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ও ডেঙ্গুর সাতটি সতর্কীকরণ লক্ষণ কি, ডেঙ্গু মশা রাতে কামড়ায় না দিনে ডেঙ্গু মশার কামড়ে চিহ্ন কি ও কি কি ডেঙ্গুর মশা লক্ষণ সমূহ ইত্যাদি বিষয়ে আপনারা উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন।
![tanvir mahtab](http://bangla-newspaper.net/wp-content/uploads/2024/10/tanvir-mahtab.jpg)
আমি তানভীর মাহতাব, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার উপর অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেছি। আমি এখন Bangla Newspaper সহ এখন টিভি ও নাগরিক টিভি পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।
Pingback: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের খাবারের তালিকা ও ডেঙ্গু হলে করনীয় কি? কি? - Bangla Newspaper